প্রশ্নোত্তরঃঃ ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর। অথবা, ইতিহাস পাঠের গুরুত্ব আলোচনা কর। অথবা, মানবজীবনে ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
ভূমিকাঃ মানবসমাজ ও সভ্যতার বিবর্তনের সত্য নির্ভর বিবরণ হচ্ছে ইতিহাস। যে জ্ঞানচর্চার শাখা হিসেবে ইতিহাসের গুরুত্ব অসীম। ব্যক্তিগত, সমষ্টিগত ও জাতিগতভাবে ইতিহাসের গুরুত্ব অপরিসীম। ইতিহাসকে মানুষের আত্মোপলব্ধির চাবিকাঠি বলা হয়েছে। ইতিহাস পড়ে মানুষ স্বীয় প্রকৃতি বিষয় জানতে পারে। স্বীয় প্রকৃতি জানার অর্থ হল মানুষ কী করতে সক্ষম সে বিষয়ে ধারণা নেয়া। কেউই জানে না সে কি করতে সক্ষম। তা জানার একমাত্র উপায় হলো মানুষের অতীত কার্যক্রমের সাথে পরিচিত হওয়া। ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে তা সম্ভব হয়।
নিম্নে ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করা হলঃ
১. ইতিহাস জ্ঞান ও আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি করেঃ অতীতের সত্যনিষ্ঠ বর্ণনা মানুষের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর এ বিবরণ যদি হয় নিজ দেশ, জাতির সফল সংগ্রাম ও গৌরবময় ঐতিহ্যের তাহলে তা মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। একই সাথে আত্মপ্রত্যয়ী, আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করার মাধ্যমে মানুষকে আত্মমর্যাদাবান করে তোলে।
২. ইতিহাস সচেতনতা বৃদ্ধি করেঃ ইতিহাসের জ্ঞান মানুষকে সচেতন করে তোলে৷ বিভিন্ন মানবগোষ্ঠীর উত্থানপতন এবং সভ্যতার বিকাশ ও পতনের কারণগুলো জানতে পারলে মানুষ ভালো ও মন্দের পার্থক্য সহজেই বুঝতে পারে। ফলে সে তার কর্মের পরিণতি সম্পর্কে সচেতন থাকে।
৩. বর্তমানকে উপলব্ধিতে সাহায্য করেঃ ইতিহাস অতীতের ঘটনা হলেও তা মৃত নয়; বরং জীবিত। ইতিহাস জীবিত অতীত হিসেবে বর্তমানের মধ্যে বেঁচে থাকে। তাই বর্তমানকে যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে হলে অতীতকে অবশ্যই জানতে হবে।
৪. দৃষ্টান্তের সাহায্যে শিক্ষা দেয় ইতিহাসঃ ইতিহাসের ব্যবহারিক গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষ ইতিহাস পাঠ করে অতীত ঘটনাবলির দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষা নিতে পারে। ইতিহাসের শিক্ষা বর্তমানের প্রয়োজনে কাজে লাগানো যেতে পারে। ইতিহাস দৃষ্টান্তের মাধ্যমে শিক্ষা দেয় বলে ইতিহাসকে শিক্ষনীয় দর্শন বলা হয়।
উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায়, মানুষের ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সমষ্টি ও জাতিগত জীবনের সর্বত্র ইতিহাসের গুরুত্ব অপরিসীম।ইতিহাস পাঠ করলে বিচার-বিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ে, যা দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে সাহায্য করে। ফলে জ্ঞানার্জনের প্রতি আগ্রহ জন্মে।
নিম্নে ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করা হলঃ
১. ইতিহাস জ্ঞান ও আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি করেঃ অতীতের সত্যনিষ্ঠ বর্ণনা মানুষের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর এ বিবরণ যদি হয় নিজ দেশ, জাতির সফল সংগ্রাম ও গৌরবময় ঐতিহ্যের তাহলে তা মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। একই সাথে আত্মপ্রত্যয়ী, আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করার মাধ্যমে মানুষকে আত্মমর্যাদাবান করে তোলে।
২. ইতিহাস সচেতনতা বৃদ্ধি করেঃ ইতিহাসের জ্ঞান মানুষকে সচেতন করে তোলে৷ বিভিন্ন মানবগোষ্ঠীর উত্থানপতন এবং সভ্যতার বিকাশ ও পতনের কারণগুলো জানতে পারলে মানুষ ভালো ও মন্দের পার্থক্য সহজেই বুঝতে পারে। ফলে সে তার কর্মের পরিণতি সম্পর্কে সচেতন থাকে।
৩. বর্তমানকে উপলব্ধিতে সাহায্য করেঃ ইতিহাস অতীতের ঘটনা হলেও তা মৃত নয়; বরং জীবিত। ইতিহাস জীবিত অতীত হিসেবে বর্তমানের মধ্যে বেঁচে থাকে। তাই বর্তমানকে যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে হলে অতীতকে অবশ্যই জানতে হবে।
৪. দৃষ্টান্তের সাহায্যে শিক্ষা দেয় ইতিহাসঃ ইতিহাসের ব্যবহারিক গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষ ইতিহাস পাঠ করে অতীত ঘটনাবলির দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষা নিতে পারে। ইতিহাসের শিক্ষা বর্তমানের প্রয়োজনে কাজে লাগানো যেতে পারে। ইতিহাস দৃষ্টান্তের মাধ্যমে শিক্ষা দেয় বলে ইতিহাসকে শিক্ষনীয় দর্শন বলা হয়।
উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায়, মানুষের ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সমষ্টি ও জাতিগত জীবনের সর্বত্র ইতিহাসের গুরুত্ব অপরিসীম।ইতিহাস পাঠ করলে বিচার-বিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ে, যা দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে সাহায্য করে। ফলে জ্ঞানার্জনের প্রতি আগ্রহ জন্মে।
Comments