ভুমিকাঃ ইসলাম পূর্ব যুগে আরদের মধ্যে কাব্যচর্চার প্রচলন ছিল। কাব্যের প্রতি আরবদের আগ্রহ ছিল প্রবল। কবিতার মাধ্যমে আরবরা তাদের দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা সংরক্ষণ করে রাখত। এসব কবিতার মধ্যে গীতি কবিতা ছিল অন্যতম। এসব গীতি কবিতার মধ্যে সাব আল মুয়াল্লাকা ছিল অন্যতম। সাতজন কবি মিলে এ সাব আল মুয়াল্লাকা রচনা করেন।
সাব আল মুয়াল্লাকাঃ আরবের কবিরা মক্কার অদূরে উকাজ বাৎসরিক মেলায় কবিতা পাঠের প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতেন। এ প্রতিযোগিতায় আরবের বড় বড় কবিরা স্বরচিত কবিতার প্রতিযোগিতা করতেন। আরবের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হতেন। বৎসরের সেরা কবিতাগুলোকে সোনালী হরফে মিশরের লিলেন কাপরের উপর লিখে কাবা ঘরের দেয়ালে ঝুলিয়ে দেয়া হতো। এরুপ সাতটি কবিতার সমষ্টি 'সাব আল মুয়াল্লাকা' বা 'Seven suspended poems' নামে অভিহিত। ইমরুল কায়েস, তারাফা লাবিদ, হারিস, আনতারা প্রমুখ ছিলেন মুয়াল্লাকার প্রধান প্রধান কবি। এদের মধ্যে অসাধারণ প্রতিভাশালী ছিলেন ইমরুল কায়েস। তিনি প্রাক ইসলামি যুগে শ্রেষ্ঠ কবির মর্যাদা লাভ করেন।
উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায়, প্রাক ইসলামি যুগে সাহিত্য বলতে কবিতাকে বুঝাতো। আর এসব কবিতার শীর্ষস্থানীয় রচনার সমষ্টি হল সাব আল মুয়াল্লাকা। এটি ছিল আরববাসীদের প্রাত্যহিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যাতে তারা তাদের সাংস্কৃতিক জীবনের ছাপ সুস্পষ্ট ভাবে তুলে ধরেন অত্যন্ত নিখুঁতভাবে।
Comments