Skip to main content

Posts

প্রশ্নোত্তর: এক তরুণী তার বান্ধবীর বাপের সাথে পুরুষের ন্যায় কোলাকুলি করেছে, ইসলামী ফয়সালা কি?

প্রশ্নঃ  এক মেয়েকে তার বান্ধবীর বাপের সাথে পুরুষের ন্যায় কোলাকুলি করতে দেখে তাকে ভদ্রভাবে মোহরেম/গায়রে মোহরেম, মেয়েদের হিজাব ইত্যাদি ব্যাপারে বুঝালে সে উত্তরে বলে- ‘এই যদি ইসলামের বিধান হয় তবে আমি এ ইসলাম মানি না।’ এ অবস্থায় মেয়েটি কি মুরতাদ হবে? যদি হয় তবে তার মা/বাবা, ভাই-বোনদের সাথে সম্পর্ক কিরূপ হবে? সে কি মা/বাবার সম্পত্তিতে মিরাছের অধিকারী হবে? উত্তরঃ  বান্ধবীর পিতা নিজের পিতা নয় বিধায় বান্ধবীর পিতার সাথে কোন মহিলার (প্রাপ্ত বয়স্ক) এভাবে কোলাকুলি করার ইসলামী শরীয়তে অনুমতি নাই। এ ধরনের আচরণ অনেক সময় গুনাহ্-নাফরমানীর দিকে ধাবিত করে- এ জাতীয় অবাধ আচরণে পশ্চিমা দেশে জেনা-নাফরমানী- সীমা অতিক্রম করেছে। তাই ইসলাম নারী জাতীর মান-সম্মান, ইজ্জত, আবরু রক্ষার জন্য শালীন আচরণ ও পর্দা-পুশিদার বিধান প্রদান করেছে। এটা না বুঝে যদি কোন মহিলা/পুরুষ এ কথা বলে- ‘এই যদি ইসলামের বিধান হয় তবে আমি এ ইসলাম মানি না।’ তাকে প্রথমে ইসলামের আদর্শ মর্মবাণী ও তাহজীব তামাদ্দুন বুঝাতে হবে এবং ইসলাম নারী জাতীর মর্যাদা ও সম্মান কত উচুঁ করেছে তা জানাতে হবে। তবে কোন মুসলিম নর-নারী জেনে শুনে বুঝে ইসলামকে কটাক্ষ ক
Recent posts

প্রশ্নোত্তরঃঃ ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর। অথবা, ইতিহাস পাঠের গুরুত্ব আলোচনা কর। অথবা, মানবজীবনে ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।

ভূমিকাঃ মানবসমাজ ও সভ্যতার বিবর্তনের সত্য নির্ভর বিবরণ হচ্ছে ইতিহাস। যে জ্ঞানচর্চার শাখা হিসেবে ইতিহাসের গুরুত্ব অসীম। ব্যক্তিগত, সমষ্টিগত ও জাতিগতভাবে ইতিহাসের গুরুত্ব অপরিসীম। ইতিহাসকে মানুষের আত্মোপলব্ধির চাবিকাঠি বলা হয়েছে। ইতিহাস পড়ে মানুষ স্বীয় প্রকৃতি বিষয় জানতে পারে। স্বীয় প্রকৃতি জানার অর্থ হল মানুষ কী করতে সক্ষম সে বিষয়ে  ধারণা নেয়া। কেউই জানে না সে কি করতে সক্ষম। তা জানার একমাত্র উপায় হলো মানুষের অতীত কার্যক্রমের সাথে পরিচিত হওয়া। ইতিহাস পাঠের মাধ্যমে তা সম্ভব হয়। নিম্নে ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করা হলঃ ১. ইতিহাস জ্ঞান ও আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি করেঃ  অতীতের সত্যনিষ্ঠ বর্ণনা মানুষের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর এ বিবরণ যদি হয় নিজ দেশ, জাতির সফল সংগ্রাম ও গৌরবময় ঐতিহ্যের তাহলে তা মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। একই সাথে আত্মপ্রত্যয়ী, আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করার মাধ্যমে মানুষকে আত্মমর্যাদাবান করে তোলে। ২. ইতিহাস সচেতনতা বৃদ্ধি করেঃ ইতিহাসের জ্ঞান মানুষকে সচেতন করে তোলে৷ বিভিন্ন মানবগোষ্ঠীর উত্থানপতন এবং সভ্যতার বিকাশ ও পতনের কারণগুলো জানতে পারলে মানুষ ভালো

প্রশ্নোত্তরঃ উকাজ মেলা সম্পর্কে যা জানো লিখ। অথবা, উকাজ মেলা সম্পর্কে আলোচনা কর। অথবা, উকাজ মেলা কি?

ভূমিকাঃ  আরবদের মধ্যে যে সাহিত্যচর্চা প্রচলিত উকাজের মেলা তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ। প্রাচীন আরবের কবিরা মক্কার অদূরে উকাজের বাৎসরিক মেলায় কবিতা পাঠের প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতেন। সেখানে নাচাগান, নানাপ্রকার খেলাধুলা, ঘোড়দৌড় ও উঠের দৌড়ের প্রতিযোগিতা হতো। অন্যদিকে, প্রতি বছর এ মেলায় কবিতা পাঠের প্রতিযোগিতা হতো। কথিত আছে, উকাজের মেলায় পুরস্কার প্রাপ্ত সাতটি কবিতা সোনালি অক্ষরে লিপিবদ্ধ করে কাবার দেয়ালে ঝুলিয়ে দেয়া হতো। একে আরবিতে 'সাব আল মুয়াল্লাকা' বলা হতো। উকাজ মেলাঃ  প্রাক ইসলামি যুগে গীতিকাব্য রচনা ও সাহিত্য চর্চায় আরবদের বিস্ময়কর সৃজনশীল শক্তির পরিচয় পাওয়া যায়। গীতিকবিতা বা কাসিদা ছিল প্রাচীন আরব সংস্কৃতির অন্যতম সম্পদ। ঐতিহ্যবাহী হিট্টি বলেন, "কাব্য প্রীতিই ছিল বেদুইনদের সাংস্কৃতিক সম্পদ।" সে যুগে আরবদের মধ্যে যে সাহিত্য চর্চা প্রচলিত ছিল, উকাজের মেলা এর একটি উৎকৃষ্ট প্রমাণ। প্রতি বছর এ মেলায় কবিতা পাঠের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতো। এ  সাহিত্য সভায় কাব্য চর্চার দ্বারা সংশ্লিষ্ট কবিগণ নিজেদের কৃতিত্ব প্রকাশ করতেন। বৎসরে সেরা কবিতা গুলোকে মিশরের লিলেন কাপড়ের উপর লিখে কা

প্রশ্নোত্তরঃ হানিফ বা হানাফি সম্প্রদায়ের এর উপর টিকা লিখ। অথবা, হানিফ সম্প্রদায় কি?

ভূমিকাঃ  প্রাক ইসলামি যুগে আরবে একদল লোকেরা আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস করতেন। তারা স্বতন্ত্রভাবে জীবনযাপন করতেন এবং মূর্তিপূজার বিরোধী ছিলেন। পৌত্তলিক আরবে তারা হানিফ নামে পরিচিত ছিলেন। হানিফ সম্প্রদায়ঃ  আইয়ামে জাহেলিয়া বা অন্ধকার যুগে মদিনায় হানিফ নামে একটি একেশ্বরবাদে বিশ্বাস করত। তারা এক আল্লাহতে বিশ্বাস করতো এবং ইব্রাহিমের ধর্মের উপর তাদের আস্থা ছিল। এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ওরাকা ইবনে নওফেল, আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাস, কবি জুহাইর,  আবুবকর, যায়েদ বিন আমর, আবু আনাস প্রমুখ। তাছারা হযরত মুহাম্মদ (স)  এর জ্ঞাতি ভাই উমাইয়া বিন আবিসালাতও ছিলেন একেশ্বরবাদে বা হানাফিয়া সম্প্রদায়ের। সাবেয়িগণ বিশ্বাস করতো যে, তারা হযরত ঈসা ও হযরত ইদ্রিস (আ) এর অনুসারী। হানাফিরা সংখ্যায় কম ছিলেন ফলে তারা আরবের উপর কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। উপসংহারঃ  পরিশেষে বলা যায় যে, ধর্মীয় কুসংস্কার ও অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগেও আরবে একেশ্বরবাদী বিশ্বাসী (আস্তিক) ছিল। আস্তিকেরা আল্লাহকে সত্য জেনে তার অস্তিত্যকে বিশ্বাস করতো।

প্রশ্নোত্তরঃ জাহেলিয়া যুগের আরবীয়দের ধর্মীয় জীবন আলোচনা কর। অথবা, ইসলাম পূর্ব যুগে আরবীয়দের ধর্মীয় অবস্থা আলোচনা কর।

ভূমিকাঃ  প্রাক ইসলামি যুগে আরবের ধর্মীয় অবস্থা শোচনীয় ও অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল। তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ছিল না ধরনের। পৌত্তলিক, জড়বাদী, ইহুদি, খ্রিস্টান,হানাফি প্রভৃতি। ১. পৌত্তলিকঃ  পুতুল পূজা বা পৌত্তলিকা ছিল আরবদের সার্বজনীন ধর্ম। আদ, সামুদ, জাদিস, জারহাম এবং আমালিক প্রভৃতি গোত্রের লোকেরা ছিল সম্পূর্ণভাবে মুশরিক বা পৌত্তলিক। আল-লাত, আল-মানাহ এবং আল-উজ্জাক নামক দেবীকে আরববাসীরা একত্রে 'আল্লাহর তিন কন্যা' বলে মনে করতো। ইসলাম পূর্ব যুগে মক্কা নগরে অবস্থিত কাবা গৃহ আরবদের শ্রেষ্ঠতম পবিত্র ধর্মমন্দির ছিল। এ মন্দিরে ৩৬০ টি দেবদেবী ছিল৷ কাবা ঘরের রক্ষিত মূর্তিদের মধ্যে সবচেয়ে বড় মূর্তি বা দেবতার নাম ছিল হোবল। ২. হানাফিঃ  ধর্মীয় কুসংস্কার ও অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগেও আরবে একদল বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন যারা এক আল্লাহতে বিশ্বাস করতো এবং ইব্রাহিমের ধর্মের উপর তাদের আস্থা ছিল। এজন্য তাদের হানাফি বলা হতো। এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ওরাকা ইবনে নওফেল, আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাস, কবি জুহাইর,  আবুবকর, যায়েদ বিন আমর, আবু আনাস প্রমুখ। তারা একেশ্বরবাদে বিশ্বাস করতেন এবং কোন প্রকার মূর্তি পূজা করতো না। কিন্তু তার

প্রশ্নোত্তরঃ প্রাক ইসলামি যুগে নারীদের অবস্থা কেমন ছিল? অথবা, প্রাক ইসলামি যুগে নারীদের অবস্থা কি ছিল?

ভূমিকাঃ  সমকালীন ইতিহাসে উল্লিখিত যে কোন দেশের তুলনায় প্রাক ইসলামি যুগে আরবের নারীদের অবস্থা ছিল শোচনীয়। এ যুগে আরবরা নারীদের অস্থাবর সম্পত্তি ও ভোগের সামগ্রী বলে মনে করতো এবং তাদের অত্যন্ত ঘৃণার চোখে দেখত। সমাজে নারীর অবস্থাঃ  জাহেলিয়া যুগে সমাজে নারীর অবস্থা ছিল অতি নিম্নে। নারীদেরকে সে সমাজে পণ্যদ্রব্য এবং ভোগের সামগ্রী হিসেবে মনে করা হতো। তাদের আর্থসামাজিক,  সম্পত্তি ভোগের কোন মর্যাদা ছিল না বলে পতিতাবৃত্তি সমাজে স্বীকৃতি পায়। নারীরা সর্বত্র পুরুষদের দ্বারা নিগৃহীত হতো। তবে এর ব্যতিক্রমও দেখা যায়। মক্কায় বিবি খাদিজা ও আবু জেহেলের মা সে যুগে মর্যাদার অধিকারী ছিলেন। বিবাহ প্রথাঃ  ইসলাম পূর্ব যুগে বিবাহ প্রথায় সুনির্দিষ্ট কোন রীতি ছিল না। পুরুষরা একাধিক স্ত্রী গ্রহণ, ইচ্ছামতো বর্জন, অবৈধ প্রণয় এবং বহু রক্ষিতা রাখত। তেমনি নারীরাও একাধিক স্বামী বা বহুপতি গ্রহণ ও ব্যভিচারে লিপ্ত হতো। শুধু তাই নয় ভাইবোন বিয়ে ও বিমাতাকে বিয়ে করার কুপ্রথা প্রচলিত ছিল। পতিতাবৃত্তিও চালু ছিল। কন্যা সন্তানদের জীবন্ত কবর দানঃ  প্রাক-ইসলামি যুগে কন্যা সন্তান জন্মদান অভিশাপ হিসেবে বিবেচিত হতো। দারিদ্র্য

প্রশ্নোত্তরঃ সাব আল মুয়াল্লাকা বা সপ্ত ঝুলন্ত কবিতা কি?

ভুমিকাঃ  ইসলাম পূর্ব যুগে আরদের মধ্যে কাব্যচর্চার প্রচলন ছিল। কাব্যের প্রতি আরবদের  আগ্রহ ছিল প্রবল। কবিতার মাধ্যমে আরবরা তাদের দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা সংরক্ষণ করে রাখত। এসব কবিতার মধ্যে গীতি কবিতা ছিল অন্যতম। এসব গীতি কবিতার মধ্যে সাব আল মুয়াল্লাকা ছিল অন্যতম। সাতজন কবি মিলে এ সাব আল মুয়াল্লাকা রচনা করেন। সাব আল মুয়াল্লাকাঃ  আরবের কবিরা মক্কার অদূরে উকাজ বাৎসরিক মেলায় কবিতা পাঠের প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতেন। এ প্রতিযোগিতায় আরবের বড় বড় কবিরা স্বরচিত কবিতার প্রতিযোগিতা করতেন। আরবের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হতেন। বৎসরের সেরা কবিতাগুলোকে সোনালী হরফে মিশরের লিলেন কাপরের উপর লিখে কাবা ঘরের দেয়ালে ঝুলিয়ে দেয়া হতো। এরুপ সাতটি কবিতার সমষ্টি ' সাব   আল মুয়াল্লাকা' বা 'Seven suspended poems'  নামে অভিহিত। ইমরুল কায়েস, তারাফা লাবিদ, হারিস, আনতারা প্রমুখ ছিলেন মুয়াল্লাকার প্রধান প্রধান কবি। এদের মধ্যে অসাধারণ প্রতিভাশালী ছিলেন ইমরুল কায়েস। তিনি প্রাক ইসলামি যুগে শ্রেষ্ঠ কবির মর্যাদা লাভ করেন। উপসংহারঃ  পরিশেষে বলা যায়, প্রাক ইসলামি যুগে সাহিত্য বলতে কবিতাকে বুঝ